লাইকি ও টিকটক এর ক্ষতিকর দিক

লাইকি ও টিকটক এর ক্ষতিকর দিক
Written by IQRA Bari

আজকাল তরুণ-তরুণীদের মধ্যে likee ও Tiktok ব্যবহারের প্রবণতা খুবই দ্রুততার সাথে বাড়ছে। করোনাকালীন সময়ে এই দুটি প্লাটফর্মে তরুণ প্রজন্ম এতবেশি এক্টিভ ছিল যে, অনেকেই এতে আসক্ত হয়ে মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। লাইকি ও টিকটক এর ক্ষতিকর দিক ও বর্তমান প্রজন্মের জন্য এই প্লাটফর্ম গুলো কতটা হুমকি এই বিষয়েই আজকের বিশ্লেষণ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনাকালীন সময়ে স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ লাইকি ও টিকটকে এক্টিভ হয়েছে এবং তা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এই প্লাটফর্ম গুলো মূলত তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেকের কাছে likee ও Tiktok বিনোদনের মাধ্যমে সময় কাটানোর জন্য মনে হলেও বিশ্লেষক ও সচেতন অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের জন্য এগুলোকে হুমকি হিসেবেই চিহ্নিত করছে। কারণ, লাইকি ও টিকটকে শুধু বিনোদন নেওয়ার জন্যই নয়, অনেকেই বিনোদন দেওয়ার জন্যও বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে।

আরো পড়ুনঃ ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার নিয়ম।

ভাইরাল হওয়া যেখানে শেষ কথা। তাই যেখানে সেখানেই ফোনের ক্যামেরা অন করে বিকারগ্রস্থ অবস্থায় পাগলের মতো পাগলামিপনা শুরু করে দেয়। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভিডিও বানায়, এমনকি রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে আবার অনেকে কৌশলে ট্রেন থামিয়েও ভিডিও পর্যন্ত করে।

লাইকি ও টিকটক এর ক্ষতিকর দিক

লাইকি ও টিকটক আসক্তির প্রভাব তরুণ প্রজন্মকে কিভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কী ধরণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন তা যথাক্রমে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। তারআগে লাইকি ও টিকটক এর ১০ টি ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা যাক। –

১. মানসিক বিপর্যয়

২. সময়ের অপচয়

৩. বাঁধাগ্রস্থ জ্ঞানার্জন

৪. জীবনের লক্ষ্য হারিয়ে ফেলা

৫. অর্থের অপচয়

৬. হতাশা ও মানসিক অসস্তি

৭. শালীনতা ও লজ্জা হারিয়ে ফেলা

৮. সামাজিক অবক্ষয়

৯. শারীরিক ক্ষতি

১০. ধর্ম থেকে দূরে সরে যাওয়া

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক, তরুণ প্রজন্মের জন্য লাইকি ও টিকটক আসক্তির প্রভাব খুবই ভয়ঙ্কর। অভিভাবকদের বড় একটি অংশ ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে আঁচ করতে পেরেছেন। বিশেষ করে সামাজিক ভাবে যেই পরিবার গুলো একটু সচেতন তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তারা ভাবছেন।

আমাকে এবং আপনাকেও ভাবতে হবে। কারণ, এই সমাজকে কল্যাণের দিকে আহবান করা আমাদেরই দাায়িত্ব। আমরা যদি তাদেরকে সঠিক পথটি না দেখিয়ে দেই তবে আমরাই আগামী প্রজন্মের কাছে চিরর ঋণী হয়ে থাকবো।

আশাকরি, আপনারা লাইকি ও টিকটক এর ক্ষতিকর দিক ও প্রভাব  সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। পরিশেষে বলব, আপনার নিজস্ব অবস্থান থেকে অভিভাবকের দায়িত্বটি আপনি নিজেই পালন করুন এবং আপনার সন্তান-সন্তানাদীদেরকে কল্যাণের পথে উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে দিন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!