সেরা ১০ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

সেরা ১০ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

আমরা যে যাই করিনা কেন, দিনশেষে সবাইকেই টাকার পেছনেই ছুটতে হয়। যে যাই বলুক, সমাজ জীবনে চলতে গেলে টাকার প্রয়োজন আছে। টাকা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব না। আজ আমি বেশকিছু টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করবো। যেই ওয়েবসাইট গুলো থেকে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে হ্যাঁ, আপনি যদি সত্যিই অনলাইন থেকে ইনকাম করার আগ্রহ নিয়ে এই আর্টিকেলটি পড়তে আসেন, তাহলে ‘ইনকাম করার ওয়েবসাইট’ গুলো দেখার আগে আপনাকে কিছু বিষয় জানাতে চাই। যা নতুন হিসেবে জানার প্রয়োজনবোধ করি।

ইন্টারনেট জুড়ে হাজার হাজার নকল ওয়েবসাইট ও প্রতারণার জাল বিছানো রয়েছে। তাই হুট করে যে কোন ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করে দেওয়া উচিৎ না। একটি ওয়েবসাইটে কাজ করতে হলে সেই ওয়েবসাইট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা রাখতে হবে। বিশেষ করে কাজের ধরণ ও পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে জানা উচিৎ।

আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে সেরা দশটি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আপনি যে কোনো এক বা একাধিক ওয়েবসাইটে একসাথে কাজ করতে পারবেন।

পড়ার সাজেশনঃ
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার?

তবে আমরা এমন কোন আনট্রাস্ট্রেড সাইট এই লিস্টে যোগ করবো না, যা দ্বারা আপনি -আমি প্রতারিত হই। প্রথমেই বলে রাখি, এই আর্টিকেলটি কোন প্রমোশন আর্টিকেল না। সরাসরি আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা হয়েছে।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

সেরা ১০ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটআমাদের এই লিস্টে যেই ওয়েবসাইট গুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার প্রতিটি সাইট থেকেই আজীবন ইনকাম করতে পারবেন। তবে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে। পাশাপাশি এই সাইটগুলোতে কাজ করার জন্য আপনাকে যে কোন এক বা একাধিক বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে।

অর্থাৎ, কাজ করার জন্য কাজ জানা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়।

(১) আপওয়ার্ক

আপওয়ার্ক এর পূর্ব নাম ছিল ওডেস্ক। ওডেক্স এর প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৩, ক্যাম্পবেল, ক্যালিফোর্নিয়া। এটি আমেরিকান একটি প্রাইভেট কোম্পানি। প্রতিষ্ঠাতা হলেন ওডিসিস সাটালোস স্ট্র্যাটিস কারাম্যানলাকিস।

ওডেস্ক এর বর্তমান নাম হলো আপওয়ার্ক। এটি পৃথিবীব্যাপী চাকরির বাজারভিত্তিক কোম্পানি। যার লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের সাহায্যে নির্দিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণীর কাজে দূরবর্তী কর্মীদের ভাড়া করে করিয়ে নেয়া।

আপওয়ার্ক এমন একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে বিশ্বের প্রায় ০ মিলিয়ন মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। আপওয়ার্কে প্রায় সব ধরণের কাজ পাওয়া যায়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হলোঃ

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি
  • এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি
  • এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
  • প্রোগ্রামিং ইত্যাদি

দীর্ঘমেয়াদী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে আপওয়ার্ক হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার গঠনের একটি সুনির্দিষ্ট পন্থা। তবে আপওয়ার্কে কাজ করতে হলে আপনাকে এমন কোন কাজে দক্ষ হতে হবে, যে কাজের চাহিদা রয়েছে।

হতে পারে সেটা গ্রাফিক, ওয়েব বা প্রোগ্রামিং রিলেটেড কোন কাজ। বাংলাদেশ থেকে অগণিত ফ্রিল্যান্সার আছে যারা আপওয়ার্কে কাজ করে। আপনি যদি পুরোপুরি নতুন হন তবে শুরুতেই আপওয়ার্কে যাবেন না।

(২) ফাইভার

ফাইভার একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। ২০০ সালে ইসরাইলের একটি কোম্পানি এটি প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠাতা হলেন মিকা কাফম্যান এবং শাই উইনারা। কোম্পানিটি ‘ফাইভার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে পরিচিত।

ফাইভারের প্রতিটি সেবাকে ’গিগ’ বলা হয়। যারা সার্ভিস দেয় বা কর্মী হিসেবে কাজ করেন তাদেরকে ’সেলার’ হলা হয়। ফাইভারে যে কোন ডিজিটাল পরিষেরা কেনা এবং বিক্রয় করা যায়।

পড়ার সাজেশনঃ
অনলাইন ইনকাম | অনলাইন আয়ের সহজ উপায়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি?

ফাইভার মার্কেটপ্লেসের সাথে পৃথিবীর মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ যুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার আছে যারা ফাইভারে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ফাইভার হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার গঠনের চমৎকার একটি পথ। ফাইভারে বিভিন্ন ধরণের গিগ তৈরি করে কাজ করা যায়। তারমধ্যে যেমনঃ

  • ওয়েব ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
  • কভার ডিজাইন
  • কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি
  • এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি
  • ভিডিও এডিটিং
  • অ্যানিমেশন ইত্যাদি

ফাইভারে কাজ করতে হলে ’গিগ’ এর মাধ্যমে আপনার দক্ষতা উপস্থাপন করতে হবে। প্রতিটি গিগকে পোর্টফোলিও হিসেবে ধরা যেতে পারে। যাইহোক, ফাইভারে কাজ হলেও আপনাকে এমন কোন কাজ শিখতে হবে যে কাজের অনলাইনে চাহিদা রয়েছে।

(৩) ফ্রিলান্সার

ফ্রিলান্সার.কম হলো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত মুক্তপেশাজীবীদের জন্য একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ফ্রিলান্সার.কম এর খ্যাতি বিশ্বময়।

ফ্রিল্যান্সার.কম মার্কেটপ্লেস এর সাহায্যে আপনি পৃথিবীর অনেক বড় বড় কোম্পানির সাথে ঘরেই কাজ করতে পারবেন। এই সাইটটি তাদের কর্মী বা ফ্রিল্যান্সারদের কে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ দিয়ে থাকে।

ফ্রিলান্সার.কম বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে শীর্ষ তিন ধরণের কাজ পেয়ে থাকে। তারমধ্যে ৩৪ শতাংশ আইটি ও সফটওয়্যার, ৩ শতাংশ ডিজাইন, মিডিয়া ও স্থাপত্য এবং৩ শতাংশ লেখা ও কন্টেন্ট তৈরির কাজ।

বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে সবার জন্যই ফ্রিলান্সার.কম অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়। ফ্রিলান্সার.কম এর মাধ্যমে প্রায় সব ধরণের কাজ পাওয়া যায়। প্রোগ্রামিং এবং ডিজাইন রিলেটেড কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।

(৪) অ্যামাজন

অ্যামাজন.কম একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা যা বৃহত্তম মার্কিন ইলেক্ট্রনিক বাণিজ্যিক কোম্পানি নামে খ্যাত। যেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে অবস্থিত। অ্যামাজন.কম এ যে কোন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট পাওয়া যায়।

অ্যামাজন কোম্পানিটির প্রাক্তন নাম হলো ক্যাডাবরা। এটি বিশ্বব্যাপী একটি কোম্পানি। পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে আন্তর্জাতিক শিপিং এর মাধ্যমে অ্যামাজন থেকে যে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করা যায়।

পড়ার সাজেশনঃ
অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট
ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম?

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে অ্যামাজন.কম অনেক ভালো। তবে এই সাইট থেকে ইনকাম প্রক্রিয়া ভিন্ন। অ্যামাজন.কম থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর শরণাপন্ন হতে হবে।

কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করাটা একটু কঠিন বিষয়। যেটা করার জন্য আপনাকে ব্লগিং বা ইউটিউবিং করতে হবে, অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অন্যান্য পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করতে হয় তার উপর আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল সিরিজ রয়েছে। আপনি চাইলে পড়তে পারেনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

(৫) থিম ফরেস্ট

সেরা ১০ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

থিম ফরেস্ট হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রেতা কোম্পানি। থিম ফরেস্টকে ’ইনভাটো মার্কেট’ বলেও ডাকা হয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের সাথে তাদের বাণিজ্য রয়েছে। থিম ফরেস্ট ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রেতা কোম্পানি হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়তই লক্ষ লক্ষ ডলারের বাণিজ্য হয়।

থিম ফরেস্ট বা ইনভাটো মার্কেট একটি অনলাইন শপিং মল। এখানে আপনি যা যা পাবেনঃ

  • গ্রাফিক্স টেমপ্লেট
  • এইচটিএমএল টেমপ্লেট
  • ওয়েবসাইটের থিম
  • অডিও ও ভিডিও
  • বিভিন্ন CMS
  • হোস্টিং
  • এলিমেন্টর
  • প্রোগ্রামিং ও কোডিং রিলেটেড প্রায় সবকিছু।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট থিম ফরেস্ট বা ইনভাটো মার্কেট আপনাকে দুই উপায়ে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তারমধ্যেঃ

  1. ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে আয়।
  2. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়।

() থিম ফরেস্টে পণ্য বিক্রি করে আয়

আপনি যদি ডিজিটাল পণ্য তৈরি করতে পারেন, তবে আপনি চাইলে থিম ফরেস্ট থেকে আজীবন ইনকাম করতে পারবেন। ডিজিটাল পণ্য বলতে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও এন্ড্রয়েড অ্যাপস ইত্যাদি।

বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে থিম ফরেস্ট অনেক ভালো। আপনি যদি থিম ফরেস্টে পণ্য বিক্রি বা তাদের অ্যাফিলিয়েট করেন, তবে নিশ্চিন্তে অনেক ভালো আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিদেশীদের টার্গেট করতে হবে।

(২) থিম ফরেস্টে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে থাকেন তবে দেখবেন যে, যারাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেছে তাদের প্রায় অধিকাংশ মানুষই সফল। তবে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন, তবে আপনাকে প্রথমেই প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে।

অর্থাৎ, আপনি কোন ধরণের প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন? উদাহারণতঃ ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট।

ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অ্যামাজন.কম সবচেয়ে বেস্ট। ঠিক একই ভাবে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর উপর  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য থিম ফরেস্ট বা ইনভাটো মার্কেট আপনার পথম পছন্দ হতে পারে।

(৬) পিপল পার আওয়ার

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে পিপল পার হাওয়ার এটিও একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসটির সূচনা হয় ২০০৭ সালে। এরই ধারাবহিকতায় এখন পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর মতই পিপল পার আওয়ার। এই সাইটেও প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও সফটওয়্যার রিলেটেড কাজ পাওয়া যায়।

পিপল পার হাওয়ার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনাকে কাজের দক্ষতার প্রমাণ হবে। কেননা, এই সাইটে প্রায় প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সার প্রো লেভেলের। যার কারণে এই সাইটের প্রত্যেকটি প্রজেক্ট এর বাজেট বেশ ভালো।

(৭) ইউটিউব

বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ইউটিউব প্রায় সবার উর্ধ্বে। ইউটিউবকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কিছুই নেই। ইউটিউব সম্পর্কে আমার চেয়েও ভালো জানেন অনেকেই। যাইহোক,

বাংলাদেশে অগণিত মানুষ আছে এমন, যারা ইউটিউব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে সফলতা দেখিয়েছেন। ইউটিউবে কাজ করে ইনকাম করার জন্য বহু পথ রয়েছে। যা আপনি ইতোমধ্যেই জানেন হয়ত। না জানলে কমেন্ট করবেন।

(৮) ফেসবুক

ফেসবুক আমরা প্রায় সকলেই ব্যবহার করি। তবে আমাদের বেশিরভাগ মানুষই জানিনা যে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। কিন্তু আপনার -আমরা মতই লক্ষ লক্ষ মানুষ ফেসবুক ওয়েবসাইট থেকে আয় করে তাদের ক্যারিয়ার গড়েছে।

ফেসবুকে আয় করার বিষয়টা প্রায় ইউটিউব এর মতই। তবে ইউটিউব থেকে আপনি শুধুমাত্র ভিডিওর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আর ফেসবুকে থেকে আয় করার বিষয়টা আরেকটু এডভান্স বলা যায়।

পড়ার সাজেশনঃ
কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়? বাংলা ব্লগার গাইড
ডোমেইন অথরিটি (Domain Authority) কি? কিভাবে বাড়াবেন?

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে আপনি ফেসবুককে টার্গেট করতে পারেন। কেননা, ফেসবুকে আমাদের অনেক সময় অযথায় নষ্ট হয়। ফেসবুকে সময় দেওয়ার কারণে আমাদের ক্যারিয়ার লাইফেও অনেক পিছিয়ে যেতে হয়। অথচ, ফেসবুক আমাদের জন্য তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

ফেসবুক থেকে আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে আয় করতে পারবেন। যেমনঃ

  • ভিডিও
  • ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল
  • সার্ভিস প্রমোশন
  • প্রোডাক্ট বিক্রি ইত্যাদি

এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। আমরা ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছি। এখান থেকে পড়ে নিনঃ ফেসুবক থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

(৯) ফ্রিপিক

বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ফ্রিপিক অনেক ভালো সুবিধা দেয়। তবে কোন এক অজানা কারণে এই সাইটটি নিয়ে কেউ কথা বলে না। অথচ, তাদের সাইটে কাজ করার মাধ্যমে দারুণ ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।

ফ্রিপিক মূলত একটি ডিজাইন রিলেটেড অনলাইন মার্কেট। এই সাইটটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য সবচেয়ে ভালো। এই সাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইন, বিভিন্ন ড্রয়িং ও ছবি ইত্যাদি নিয়ে কাজ হয়।

ফ্রিপিক থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনার তৈরি করা বিভিন্ন ডিজাইন সেই সাইটে আপলোড করবেন।

মজার বিষয় হলো, ফ্রিপিক আপনাকে এমন একটি পেসিভ ইনকাম এর সুযোগ দেয় যা অন্যান্য সাইট সাধারণত দেয় না। যেমনঃ আপনি একটি ডিজাইন তৈরি করে ফ্রিপিক ওয়েবসাইটে একবার আপলোড করবেন। তারপর ঐ ডিজাইনটি যতবার ডাউনলোড হবে তার বিনিময়ে আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে।

বিষ্ময়কর বিষয় হলো, প্রতিদিন এই সাইট থেকে লক্ষ লক্ষ ডিজাইন ডাউনলোড হয়। শুরুটা হয়ত একটু কঠিন মনে হবে। তবে আপনি যদি কয়েকমাস সময় দিয়ে এই সাইটে ডিজাইন আপলোড করতে পারেন, তবে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ফ্রিপিক আপনার জন্য দারুণ অপর্চুনিটি দেয়।

(১০) সাটারস্টক

সাটারস্টক মূলত ছবি বেচা-কেনার একটি ওয়েবসাইট। আপনি যদি ফটোগ্রাফার হন তবে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য সাটারস্টক আপনাকে অনেক সুযোগ -সুবিধা প্রদান করবে।

এই সাইটটি থেকেও বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ছবি ডাউনলোড হয়। সাটারস্টক প্রায় ফ্রিপিক এর মতই। তবে ফ্রিপিক হলো ডিজাইন রিলেটেড সাইট। আর সাটারস্টক হলো ফটোগ্রাফি রিলেটেড সাইট।

পড়ার সাজেশনঃ
লেখালেখি করে আয় 
কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরির সহজ উপায়

সাটারস্টক এর ফটো বা ছবি গুলো বেশ ভালো দামে বিক্রয় হয়। আপনি যদি প্রকৃতির ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তবে সাটারস্টক আপনার জন্য দারুণ ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ইন্টারনেটে হাজার হাজার আছে। যা ইচ্ছে করলেই আমাদের এই লিস্টে উল্লেখ করা যেতো। কিন্তু আমরা একচেটিয়া ভাবে সব ধরণের ওয়েবসাইটের নাম এই তালিকায় যুক্ত করিনি। তবে চেষ্টা করেছি শুধুমাত্র ঐ সমস্ত সাইটের নাম উল্লেখ করার জন্য, যেগুলো থেকে আপনি নিজেও কাজ করতে পারবেন।

যেই সাইটগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এগুলো ইন্টারন্যাশানাল পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে। তাই আপনি ঐ সমস্ত সাইটগুলোতে কাজ করে বিভিন্ন উপায়ে টাকা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারবেন।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমরা এই তালিকায় যেই সাইটগুলোর নাম উল্লেখ করেছি, তার সবগুলোই ট্রস্ট্রেড। যার ফলে কোন ভাবেই প্রতারিত হওয়ার চান্স নেই।

যারা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় খুঁজেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি হতে পারে একটি গাইড। যাইহোক, আমরা আশা করছি বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর লিস্ট পেয়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

IT Nirman

যত জ্ঞান-ধন করেছি অর্জন জীবনের প্রয়োজনে,
তার সবটুকুই বিলাতে চাই সৃষ্টির কল্যাণে।

Add comment

Your Header Sidebar area is currently empty. Hurry up and add some widgets.