ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা কেমন এই প্রশ্নটির উত্তর আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোরামে এই নিয়ে প্রশ্ন করেন অনেকেই। আমাদের ফেসবুক গ্রুপেও এই ধরণের প্রশ্ন আসে। তাই আজ আমি ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার সম্ভবনা এবং এর আরো নানাদিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

Digital Marketing নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা আছে। যার কারণে আগ্রহীদের প্রায় বেশীরভাগ মানুষ কাজ শেখার পর হতাশায় ভুগেন। এমনকি কাজ শেখার পর যথাযথ ভাবে ক্লাইন্ট বা গ্রাহক টার্গেক করতে না পারায় অনেকে কাজ পায় না এই ধরণের মন্তব্যও করে।

কিন্তু এক্ষেত্রে দেখার বিষয় হলো আপনি Digital Marketing এর কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করেন, কিভাবে করেন, টার্গেটে ভুল করছেন কিনা, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সেই কাজের উপর কেমন চাহিদা রয়েছে ইত্যাদি আরো নানা বিষয় দেখতে হয়।

শুরুতেই বলে রাখি, Digital Marketing এর প্রতিটি সেক্টরই অনেক সমৃদ্ধ। আপনি যেকোন সেক্টরেই কাজ করে অনলাইন থেকে আয় করে পারবেন।

তবে দেশ ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সেই কাজের ভ্যালু বা ডিমান্ড নির্ণয় করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অনেক কাজ আছে, আমাদের বাংলাদেশে যে কাজের চাহিদা খুব বেশী নেই। আবার এই একই কাজটা অন্য দেশে চাহিদায় শীর্ষে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং

কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে যেই পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রচারণার কাজ করা হয় তাকেই Digital Marketing বলে। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটি অনেক বিশাল।

ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রচারণা রিলেটেড যত ধরণের কাজ আছে তার সব কিছুই Digital Marketing এর অন্তর্ভূক্ত।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অপর নাম হলো অনলাইন মার্কেটিং, ইন্টারনেটে মার্কেটিং, ভার্চুয়াল মার্কেটিং ইত্যাদি।

গতানুগতিক যে মার্কেটিং করা হয়, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশী কার্যকর হলো অনলাইন মার্কেটিং। তাই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলো এখন ইন্টারনেট মার্কেটিংয়ের দিকেই ঝুঁকে পড়ছে।

তাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলোর মধ্যে Digital Marketing এর চাহিদা দিন দিন উপরেই দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। এই সমস্ত দিক বিবেচনায় ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করাটা অনেক সম্ভাবনার বলতেই হয়।

আমি সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও (SEO) মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে কাজ করি। এগুলোও Digital Marketing এরই অংশ। এই সেক্টর গুলোতে কাজ করতে গিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য সেক্টর গুলো নিয়েও ধারণা রাখি।

আপনি যখন Digital Marketing এর কাজ শিখবেন তখন আপনাকে প্রথমেই দেখতে হবে যেই সেক্টরে কাজ শিখছেন সেই সেক্টরটি আপনার টার্গেট কান্ট্রিতে কতটুকু সমৃদ্ধ হতে পেরেছে।

মনে করুন, আমি এসইও এবং কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে কাজ করি। এসইওর চাহিদা সারা বিশ্বেই সমান তালে চলছে এটা অস্বীকার করার কোন পথ নেই। হতে পারে অন্যরা একটু এগিয়ে গেছে আর আমরা একটু পিছিয়ে রয়েছি। তবে কন্টেন্ট রাইটিং সেক্টরটি উন্নত দেশে অনেক সমৃদ্ধ থাকলেও আমাদের দেশে এর চাহিদা নেই বললেই চলে।

ভাষাগত ভাবেও কন্টেন্ট রাইটিংয়ের চাহিদা আমাদের দেশে কম। আপনি যদি Fiverr, Upwork ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রবেশ করেন, তবে দেখবেন যে বাংলা ভাষায় কন্টেন্ট রাইটিংয়ের উপর কোন গিগ (Gig) নেই। এতেই প্রমাণ হয় যে এখনও বাংলা ভাষায় কন্টেন্ট রাইটিংয়ে খুব ভালো কিছু করা যাবে না। তবে সামনের দিনগুলোতে এর পরিবর্তন আসবে এটা নিশ্চিত।

সুতরাং, বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রত্যেকটি সেক্টরে কাজের চাহিদা দেশ ও জাতি ভেদে কম বেশী হতে পারে। তবে আপনি যদি ইন্টারন্যাশানাল মার্কেটে বিদেশী ক্লাইন্ট টার্গেট করে ইমেইল মার্কেটিংও করেন, তবুও আপনি খুব ভালো ফলাফল দেখতে পারবেন।

তাই আপনি যেই কাজটি শিখেছেন বা শিখবেন, মার্কেটের অন্যরাও কি সেই কাজটি করছে? করলেও কেমন সুবিধা করতে পারছে তারা এই বিষয়ে এনালাইসিস করতে হবে।

কারণ, আপনি যদি বাহ্যিকভাবে লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজের কোন অভাবে নেই। তবে অনেকেই তো কাজ শেখার পর বলে ভাই আমি কাজ পাই না। তবে এমনটা বলার কারণ কী?

এর একটিই কারণ, তারা Digital Marketing শিখছে ঠিকই, কিন্তু সঠিক সেক্টর নির্বাচন এবং ক্লাইন্ট টার্গেট করতে ভুল করেছে। এজন্যই কাজ পায় না।

তবে আপনি যদি কাজ শেখার পর সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ারে আপনি খুব ভালো উন্নতি ঘটাতে পারবেন।

আমাদের অনেকেই আছি ইংরেজি ভাষা খুব ভালো না পারার কারণে ইন্টারন্যাশানাল মার্কেট টার্গেট করতে চাই না বা চাইলেও পারি না। অথচ তারাও খুব ভালো কাজ জানে। তাদের জন্য বেস্ট সল্যুশন হলো একবারে বসে না থেকে দেশীয় ক্লাইন্টদেরকেই টার্গেট করে এগিয়ে যাওয়া।

ডিজিটাল মার্কেটিং বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে টার্গেট করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে কিনা এই বিষয়ে নতুনদের মাঝে ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করে Digital Marketing এর কোনো সেক্টরেই কাজ করে বাংলাদেশে খুব বেশী লাভবান হওয়া বা এগিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা নিত্যান্তই ভুল।

আমরা মানুষের কাছে যাই শুনি যাচাই না করেই তা বিশ্বাস করতে শুরু করি। এটা আমাদের বড় একটি দুর্বলতা।

বাংলাদেশে বসে যারা অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করছেন, তাদের বেশীর ভাগ মানুষই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Digital Marketing এর আয়টা দুইভাগে বিভক্ত। একটি সার্ভিস বেসিস ইনকাম, আরেকটি প্যাসিভ ইনকাম। এই দুই ধরণের ইনকাম পদ্ধতিই আমাদের বাংলাদেশে চালু রয়েছে।

সার্ভিস বেসিস ইনকাম বলতে আপনি কোনো ক্লাইন্টের একটি কাজ একবার করলেন, তার বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু টাকা পেলেন। এভাবে আপনার ক্লাইন্টের যতগুলো কাজ করবেন ঠিক ততবারই কাজ শেষে পারিশ্রমিক পাবেন।

উদাহরণস্বরূপঃ কারো ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়া বা ওয়েবসাইট এসইও করে দেওয়া, কোনো কোম্পানির লোগো তৈরি বা প্রোডাক্টের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং করা ইত্যাদি।

প্যাসিভ ইনকাম হলো আপনি একটি কাজ একবারই করলেন, এর বিনিময়ে আজীবন এখান থেকে টাকা পেতেই থাকবেন। প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা ক্লাইন্টের প্রয়োজন হয় না।

উদাহরণস্বরূপঃ ব্লগিং করা, ইউটিউবিং করা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, নিজস্ব ওয়েবসাইট এসইও করা ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এই দুটি ইনকাম পদ্ধতিই বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্যে আমি পেসিভ ইনকামকেই সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেই।

এর কারণ হলো Service Basis Income এর বিষয়টা এমন, আপনি যতদিন কাজ করবেন ঠিক ততদিনই টাকা পাবেন। কাজ বন্ধ রাখলেই টাকা আসাও বন্ধ হয়ে যাবে।

কিন্তু Passive income এর বিষয়টা অন্যরকম। প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় নিজস্ব প্লাটফর্ম দাঁড় করানোর কাজ করতে হবে। নির্দিষ্ট সেই সময় যখন পার হবে তখন থেকে আপনি বসে বসেই আজীবন টাকা পেতেই থাকবেন। বিষয়টা কী অদ্ভুত লাগছে তাই না!

আমি যখন এসইও (SEO) শিখেছিলাম, তখন আমার পুরোপুরি ধারণা ছিল আমি কোন মার্কেটপ্লেসে জয়েন করে বিদেশী ক্লাইন্টদের সার্ভিস দেবো। ইভেন কাজও শুরু করেছিলাম।

শুরুটা করেছিলাম গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস এর উপর। প্রাথমিকভাবে Freelancer এবং Fiverr Marketplace ছিল আমার প্রথম পছন্দ। এই মার্কেটপ্লেস গুলোতেই অনেকদিন কাজ করি। তবে কাজের গতি খুব ভালো ছিল না।

এরপর প্যাসিভ ইনকামের দিকে নজর দেই। আমি যেহেতু গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং এবং এসইও জানি, যেহেতু ব্লগিংকে বেছে নেওয়া আমার জন্য সবচেয়ে উপযোগী মনে করি।

আল্লাহর রহমতে এখন মোটমুটি ভাবে পেসিভ ইনকাম এর মজা উপভোগ করছি। আমি শুধু এটাই করি, বিষয়টা এমন নয়। আমি Service Basis Income ও করি।

যাইহোক, আমি আপনাকে বুঝাতে চাচ্ছি ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করাটা প্রত্যেকের জন্যই সম্ভাবনাময়। যারা কাজ শিখেও বসে আছেন তাদের বলব, আপনারা লক্ষ্য পরিবর্তন না করে কৌশল পরিবর্তন করুন। তাহলে দেখবেন যে আপনার পথ আল্লাহ খুলে দেবেন ইনশাআল্লাহ।

ডিজিটাল মার্কেটিং টিপস

Online Marketing করার আগে আপনাকে ইনকাম সোর্স টার্গেট করতে হবে। অর্থাৎ, আপনি অনলাইন থেকে কোন উপায়ে ইনকাম করতে চান?

কারণ, সার্ভিস বেসিস ইনকামকে টার্গেট করে যেভাবে কাজ করতে হয়, ঠিক তারই উল্টা নিয়ম ফলো করে প্যাভিস ইনকাম করা হয়।

আপনার যদি সার্ভিস বেসিস ইনকাম করার চিন্তুা থাকে তবে আপনাকে Digital Marketing এর এমন কিছু কাজ শেখা প্রয়োজন যেগুলো আপনাকে সহজেই সফলতা এনে দেবে।

সার্ভিসের জন্য ইন্টারন্যাশানাল মার্কেট এবং বিদেশী ক্লাইন্ট যদি আপনার টার্গেটে থাকে তবে আপনি ওয়েব ডিজাইন, এসইও, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যানিমেশন, প্রোগ্রামিং ইত্যাদির উপর কাজ শিখতে পারেন। এই কাজ গুলো বাংলাদেশেও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

আর যদি আপনার হাতে সময় থাকে, বাজেট থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদী ইনকামের পরিকল্পনা থাকে তবে প্যাসিভ ইনকাম এর দিকে নজর দেওয়া সময়োপযোগী প্রদক্ষেপ হবে।

এজন্য আপনাকে নিজস্ব একটি প্লাটফর্ম দাঁড় করাতে হবে। সেই প্লাটফর্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজনে এর পেছনে বাজেট রাখতে হবে। আপনার হাতে যদি যথেষ্ট সময় থাকে তবে বাজেট কম হলেও চলবে।

প্যাসিভ ইনকাম এর জন্য গুগল এডসেন্স টার্গেট করে ব্লগিং, ইউটিউবিং, এন্ড্রোয়েড অ্যাপস তৈরিকে বেছে নিতে পারেন। আবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকেও Passive income এর জন্য সেরা চয়েজ বলা যায়।

তবে একটা কথা মনে রাখবেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পগুলো বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশী ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। আপনি যদি এমনটা পারেন, তবে আপনার জীবনে বড় কিছু অর্জনের আশা করতেই পারেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ফ্রিল্যান্সিং মূলত মুক্ত পেশাকে বুঝানো হয়। বর্তমান সময়ে মুক্ত পেশাগুলো মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ফ্রিল্যান্সিং অর্থাৎ অনলাইন জব। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যত কাজ রয়েছে তারমধ্যে Digital Marketing কে সবার উপরের স্থানে রাখা হয়।

এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করাটা খুবই সম্ভাবনাময় তা নিশ্চিত ভাবে বলাই যায়। আপনি যদি Digital Marketing এর উপর নিজের অনলাইন ক্যারিয়ার বিল্ড করতে চান, তবে শুরুতেই টার্গেট রেখে কাজ শেখা শুরু করুন। তাহলে সহজেই সফলতার হাতছানি পাবেন।

ইন্টারন্যাশানাল মার্কেট বা বাংলাদেশের মার্কেট যেটা টার্গেট করা আপনার জন্য সহজ মনে হয় সেটা দিয়ে শুরু করার পরামর্শ। তবে কখনই শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেসের উপর  নির্ভর হয়ে থাকবেন না।

চেষ্টা করবেন লোকাল মার্কেটে কাজ করার জন্য। তাহলে মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট নষ্ট হয়ে গেলেও হঠাৎ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

যাইহোক, আমি চেষ্টা করেছি ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করাটা কতটুকু সম্ভাবনাময় তা তুলে ধরার জন্য। আশাকরি নতুনরা অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন ইনশাআল্লাহ। এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

IT Nirman

যত জ্ঞান-ধন করেছি অর্জন জীবনের প্রয়োজনে,
তার সবটুকুই বিলাতে চাই সৃষ্টির কল্যাণে।

2 comments

  • ভাই আপনি খুবই চমৎকার আর্টিকেল লিখেন। অনেক ওয়েবসাইট খোঁজার পর আপনার সাইটটি পেলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা ভাই

    • যদি আমার লেখায় আপনারা উপকৃত হন তবেই আমার এই শ্রম ও প্রচেষ্টা স্বার্থক! ভালোবাসা আপনার প্রতি

Your Header Sidebar area is currently empty. Hurry up and add some widgets.