ওয়েবসাইট এসইও কেন করবেন

ওয়েবসাইট এসইও করার গুরুত্ব ও দিকনির্দেশনা

SEO এর নতুন একটি পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমরা জানবো ওয়েবসাইট এসইও করার গুরুত্ব সম্পর্কে। অনেকেই হয়ত এসইও সম্পর্কে তেমন জানেন না। তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। SEO এর পূর্ণরূপ হলো ’সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন’ (Search engine optimization) । অর্থাৎ, ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত করার পাশাপাশি অপটিমাইজেশন রিলেটেড বিষয়কে SEO বলে।

SEO এর কাজ হলো কোনো ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজকে সার্চ ইঞ্জিনের কোয়েরিতে যুক্ত করা এবং সার্চ রেজাল্টে তা প্রদর্শন করানো। এইসও বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতেঃ SEO কি এবং কত প্রকার?

ওয়েবসাইট এসইও (SEO) করার গুরুত্ব

ওয়েবসাইটের মূল উদ্দেশ্য হলো নিজের কন্টেন্টগুলো অন্যদের কাছে শেয়ার করা। এজন্য চাই নিদৃষ্ট ট্রাফিক বা ভিজিটর। ভিজিটর ছাড়া কোয়ালিটিফুল কন্টেন্টও মূল্যহীন হয়ে যায়। তাই ওয়েবসাইট তৈরি করে শুধু কন্টেন্ট পাবলিশ করলেই হবে না। কন্টেন্টের জন্য ভিজিটর এর প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।

নিদৃষ্ট ভিজিটর বলতে আপনার সাইটটি যদি টেকনোলোজি বিষয়ক হয়, এক্ষেত্রে আপনার সাইটের জন্য প্রযুক্তিপ্রেমী ভিজিটর প্রয়োজন হবে। সকল মানুষই কিন্তু টেকনোলোজি সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক নয়। অনেকে আছে খেলাধুলা ভালোবাসে, আবার অনেকে মাছ ধরতে ভালোবাসে। এখন যারা খেলাধুলা বা মাছ ধরতে ভালোবাসে, তারা আপনার টেকনোলোজি বিষয়ক সাইটকে সহজেই গ্রহণ করবে না। তাদের সামনে যদি খেলাধুলা বা মাছ ধরার বিষয়ক কোনো কন্টেন্ট আসে, এটাতেই তারা বেশি ইন্টারেস্ট হবে এবং সাইটে প্রবেশ করবে।

ওয়েবসাইট এসইও করার গুরুত্বইন্টারেস্টিং কন্টেন্টগুলো সবার কাছেই প্রিয়। হতে পারে সেটা আর্টিকেল বা ভিডিও কন্টেন্ট। মানুষের মনের রুচি অনুপাতে যে কন্টেন্টগুলো ইন্টারেস্টিং লাগে, সে কন্টেন্ট পড়তে বা দেখতে মোটেও কষ্ট বা বিরক্তিবোধ হয় না। তাই ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে নিদৃষ্ট ভিজিটর প্রয়োজন হয়।

একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর পেতে হলে ওয়েবপেজকে র‌্যাঙ্কিং করানোর প্রয়োজন হয়। আর ওয়েবসাইটকে র‌্যাঙ্কিংয়ে আনতে হলে SEO এর বিকল্প নাই। এসইও করার মাধ্যমে নিদৃষ্ট ট্রাফিক বা ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এসইও করার মাধ্যমেই বিলিয়ন বিলয়ন ওয়েবসাইটের মালিকরা তাদের স্বার্থ ও টার্গেট পূরণ করে নিচ্ছে।

গুগল হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন। এই সার্চ ইঞ্জিনের আওতায় ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ওয়েবপেজ সংরক্ষিত আছে। আর এই তথ্যের সমুদ্র থেকে নিদৃষ্ট কোনো তথ্য সহজে খুঁজে বের করতে হলে ’সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন’-এর সাহায্য নিতে হবে। এসইও (SEO) কেই সংক্ষেপে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search engine optimization) বলা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ

যে কোন ওয়েবসাইটের নিদৃষ্ট কোনোনা কোন টার্গেট থাকে। তবে ফাইনালি সবাই চায় যে, তাদের ওয়েবসাইটকে র‌্যাঙ্ক করাতে বা ভাইরাল করতে। ওয়েবপেজ র‌্যাঙ্ক করার মাধ্যমেই একটি ওয়েবসাইটের টার্গেট পূরণ হয়। ওয়েবপেজ র‌্যাঙ্ক করাতে গেলে এসইও (SEO) এর বিকল্প কোনো মাধ্যম নেই।

ওয়েবসাইট তৈরির পাটফর্ম ভিন্নতায় ওয়েবপেজ এসইও (SEO) করার ওয়েব ফিচারের ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে এসইও এর মূল বিষয়বস্তু একই। ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ব্যবহার করে যারা ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন, তাদের ওয়েবপেজকে প্লাগইনের সাহায্যে খুব সহজেই এসইও করতে পারবেন।

যাইহোক, ওয়েবসাইট এসইও করার গুরুত্ব হয়ত বুঝতে পেরেছেন।

👉 এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা আপন মতামত প্রকাশে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

IT Nirman

যত জ্ঞান-ধন করেছি অর্জন জীবনের প্রয়োজনে,
তার সবটুকুই বিলাতে চাই সৃষ্টির কল্যাণে।

2 comments

  • খুবই চমৎকার আলোচনা। আচ্ছা, ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রি ব্লগ কি এসইও করা যায়?

Your Header Sidebar area is currently empty. Hurry up and add some widgets.