এসইও শিখতে কতদিন লাগে? এই বিষয়ে জানার আগে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে এসইও কি? এসইও কি কাজে ব্যবহৃত হয়? SEO / এসইও এর পূর্ণরূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এসইও মূলত করা হয় ওয়েব পেজকে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ কোয়েরির রেজাল্ট পেজে রেংক করানোর জন্য। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হলো গুগল, বিং, ইয়াহু, ইয়ানডেক্স ইত্যাদি। তবে সব ধরণের সার্চ ইঞ্জিনগুলোই এসইওর ভিত্তিতে ওয়েপজেকে রেংক দিয়ে থাকে। এসইও বিষয়ে আরো জানুনঃ এসইও কি?
Table of Contents
SEO / এসইও শিখতে কতদিন লাগে?
স্বাভাবিক ভাবে এসইও শিখতে খুব বেশী সময় লাগেনা। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে ১ মাস ট্রাই করেন, তবে আশাকরি এসইও শিখে যাবেন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, শিক্ষা এমন একটি বিষয়, যতবেশী ঘাটা হয় ততই শেখা হয়। আপনি হয়ত ১ মাসেই এসইওর মূল বিষয়বস্তু শিখে যাবেন। তবে এসইওর সিক্রেট, এসইওর গোপন তথ্যগুলো পেতে আপনার অনেক সময় লেগে যাবে। এটা এজন্যই যে, এসইওর সিক্রেট, এসইওর গোপন তথ্য আপনাকে কেউ বলবে না। এগুলো নিজেকেই খোঁজে বের করতে হবে।
পড়ার সাজেশনঃ
► SEO /এসইও কি এবং এসইও কত প্রকার?
► অন পেজ এসইও কি? কিভাবে করতে হয়?
► ওয়েবসাইট এসইও করার গুরুত্ব
কোন সার্চ ইঞ্জিননই তাদের রেংকিং ফ্যাক্টর গুলো ভুলেও প্রকাশ করে না। এমন কি কোন রেংকিং ফ্যাক্টর যদি লিক হয়ে যায়, তবে সেই রেংকিং ফ্যাক্টরটিই পরিবর্তন করে নতুন কোন নিয়ম চালু করে দেয়। গুগলের কথাই বলি, একটি সময় ছিল যখন কিওয়ার্ড ব্যবহার করে কোন ডোমেইন নেওয়া হতো, তখন সেই কিওয়ার্ড রেংক করানোর জন্য আর কোন কষ্ট করতে হতো না। এটা অটোমেটিক ভাবে কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে ডোমেইনটিই রেংক করতো। যার ডোমেইনে যেই কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হতো, তার ডোমেইনই সবার উপরে রেংক করতো।
তখনকার সবাই ডোমেইন নামে তাদের টার্গেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করে ওয়েবসাইট রেংক করাতো। এজন্যই সবাই তখন অনেক বড় বড় নামে ডোমেইন কিনতো। যেমনঃ the-best-infomation-technology-blog-bangla .com
তখনকার এসইও সিক্রেটটা এমনই ছিল। আর এভাবেই সবাই কাজ করত। এই বিষয়টা যখন গুগল জানতে পেরেছে, তখন কিওয়ার্ড ভিত্তিক ডোমেইন কে তাদের রেংকিং ফ্যাক্টর থেকে বাদ দিয়ে দেয়। নতুন নিয়ম চালু করে। ইদানিং তারা ছোট ডোমেইনকে বেশী রেংক দিচ্ছে।
সত্যি বলতে আপনাকে এসইও সম্পর্কে অনেক গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এসইও ইন্ডাস্ট্রিটা কিভাবে চলছে, কখন-কোথায় কী ধরণের আপডেট হচ্ছে, এই বিষয়ে সবসময় নজরদারী করতে হবে। কারণ, এসইও ইন্ডাস্ট্রিটা শুধুমাত্র একটি সিক্রেটকে কেন্দ্র করে চলছে না। তারা গোপনীয় ভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ওয়েবসাইট রেংক দিচ্ছে।
গুগল সবসময় বলে তাদের ২০০ টির বেশী রেংকিং ফ্যাক্টর রয়েছে। তবে কখনই রেংকিং ফ্যাক্টর লিস্ট কারো কাছে শেয়ার করছে না। এমনটি আপনি সারা ইন্টারনেট জগত ঘাটাঘাটি করেও গুগলের রেংকিং ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাবেন না। এগুলো যদিও কেউ জেনে থাকে, তবুও আপনার-আমার কাছে শেয়ার করবে না। এর কারণ, আপনি-আমি, এভাবেই যদি সকলেই গুগলের রেংকিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে জেনে যাই, তবে কিন্তু কিওয়ার্ড ভিত্তিক ডোমেইন এর মতই একটি বিষয় ঘটবে। তখন গুগল হয়ত তাদের রেংকিং ফ্যাক্টর থেকে লিক হয়ে যাওয়া সিক্রেটটিও বন্ধ করে দেবে।
পড়ার সাজেশনঃ
► SEO Glossary – এসইও টার্ম এবং ডেফিনেশন
► অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট
► টাইটেল ট্যাগ – SEO Title Tag এর ব্যবহার
তখন সিক্রেট প্রকাশকারী বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কারণ, গুগল কখনই একজনের জন্য তাদের রেংকিং ফ্যাক্টর তৈরি করেনি। তাদের পুরো সিস্টেমটি একই পদ্ধতি ব্যবহার করছে। সিক্রেট প্রকাশকারী যেই সিক্রেট ব্যবহার করে এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করতো, গুগল যদি সেই সিক্রেট বন্ধ করে দেয়, তখন সেই লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা স্বাভাবিক। তাই এসইওর কোন গোপনীয় সিক্রেট কখনই কেউ প্রকাশ করে না।
এজন্য পুরোপুরি ভাবে এসইও শিখতে কতদিন লাগে তা একচেটিয়া ভাবে বলা যাবে না। এসইও শেখার পেছনে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে। এসইওতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজেকেই খোঁজে বের করতে হবে কোনটা এসইওতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। তাই আমার মতে এসইও যদি শিখতে চান, তবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে পা বাড়ান।
এসইও (SEO) কেন শিখবেন?
এসইও হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান, তবে এসইও শেখাটা আপনার জন্য অনেক জরুরি। এসইওর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার কাঙ্খিত উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবেন।
যে কোন বাণিজ্য পরিচালনার জন্য এসইও একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হতে পারে। যেটার মাধ্যমে আপনি অনেক ভাবেই লাভবান হবেন। আপনি যদি এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ক্যারিয়ার বিল্ড করতে চান, তবে এসইও ইন্ডাস্ট্রি আপনার জন্য দারুণ ক্যারিয়ার বিল্ড করার অপর্চুনিটি দিচ্ছে।
আপনার যদি কোন সার্ভিস বা কোম্পানি থাকে, অথবা আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন, তবে অনলাইন ভিত্তিক বাণিজ্য পরিচালনার জন্য এসইও আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাছাড়া, আপনি নিজেই যদি এসইও বিষয়ে অভিজ্ঞ হন তবে এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে আপনি বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
SEO করে কত টাকা আয় করা যায়
এসইও থেকে কতটাকা আয় করা যায়, এর কোন নির্দিষ্ট জবাব নেই। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি এসইও এক্সপার্ট হন তবে ১,০০০/- ডলার থেকে ১০,০০০/- মাসিক ইনকাম করতে পারবেন। এটা মিথ্য বা বানোয়াট কোন কথা নয়। আপনি যদি আপওয়ার্ক, ফাইবার মার্কেটপ্লেসে যান, তবে দেখবেন যে এমন অগণিত ফ্রিল্যান্সার বা ইনকামকারী আছে। তাদের গিগ -এ হাজার হাজার ফাইভ তারকা ( 5 Star ) রিভিউ আছে।
পড়ার সাজেশনঃ
► Off Page SEO ব্যাকলিংক ও Link Popularity | অফ পেজ এসইও
► কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়? বাংলা ব্লগার গাইড
► ডোমেইন অথরিটি (Domain Authority) কি? কিভাবে বাড়াবেন?
অনেকেই বলতে পারেন এই ইনকাম কি ইন্ডিয়া বা বাংলাদেশ থেকে সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। আমি ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের কথাই বলছি। আপনারা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বা ইউটিউবে দেখবেন এমন অগণিত মানুষের ইন্টারভিউ রয়েছে, যারা এসইও ইন্ডাস্ট্রিকে টার্গেক করে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে মাসে ১,০০০/- ডলার থেকে ১০,০০০/- ইনকাম করছে।
এসইও শেখার জন্য কি কি প্রয়োজন?
এসইও মূলত কয়েকটি বিষয়ের সমন্বয়ে করা হয়। এসইও শেখার জন্য প্রথমত আপনার একটি কম্পিউটার / ল্যাপটপ / ট্যাব / স্মার্টফোন থাকবে হবে। তারপর ইন্টারনেট কানেকশন ও একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে। আপনাকে লেখলেখি করার অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে।
আপনারা অবশ্যই জানেন যে, এসইও করার মূল টার্গেট হলো ওয়েব পেজকে অপটিমাইজ করা। আর এসইওর উদ্দেশ্য হলো ওয়েব পেজ সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করানো।
এসইও এর মাধ্যমে একটি ওয়েব পেজকে অপটিমাইজ করতে হলে বেশ কিছু জিনিস প্রয়োজন হয়। যেমনঃ লেখা, ছবি, গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি। এই বিষয়গুলোর সমন্বয় সাধন করে একটি এসইও প্রজেক্ট সম্পূর্ণ হয়।
এসইও শেখার জন্য কেমন যোগ্যতা প্রয়োজন?
এসইও এমন একটা বিষয়, যেটা যে কোন শ্রেণীর মানুষ চেষ্টা করলেই শিখতে পারবে। আপনি যদি স্কুল, কলেজ, বিশ্ব-বিদ্যালয় বা মাদ্রাসা পড়ুয়া হন, অথবা যে কোন কাজেই থাকেননা কেন, আপনি ইচ্ছে করলেই এসইওর কাজ শিখতে পারবেন।
এসইও শেখার জন্য এমন কোন রুলস্ নেই যে, আপনাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তবে হ্যাঁ, আপনাকে এসইওর নীতিমালা বুঝার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন হবে। তবেই আপনি এসইওর কাজ শেখার জন্য রেডি!
SEO এর কাজ শেখার উপায় বা এসইও শেখার উপায়
এসইও শেখার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তারমধ্যে জনপ্রিয় কিছু এসইও শেখার উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
(১) বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়াতে অনেক আইটি ফার্ম আছে, যেখানে এসইও বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আপনি চাইলে সেসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সরাসরি ভাবে এসইও শিখতে পারেন। আপনার জেলা শহর বা থানা শহরেই এমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পেয়ে যাবেন। তবে সরাসরি ভাবে শিখতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। এক্সামপল: ১৫ -৫০ হাজার + টাকা লাগতে পারে। তবে এটা প্রতিষ্ঠান ভেদে কম-বেশী হতে পারে।
(২) অনেক এসইও এক্সপার্টরা অনলাইন ভিত্তিও এসইও বিষয়ে ক্লাস করায়। আপনি চাইলে তাদের ক্লাসে যুক্ত হয়ে এসইওর কাজ শিখে নিতে পারেন। এই ধরণের ক্লাস গুলোতে যুক্ত হতেও টাকা প্রয়োজন হবে। তবে এই ধরণের ক্লাসে খুব বেশী টাকার প্রয়োজন হয় না। এক্সামপল: ১ -১০ হাজার + টাকা লাগতে পারে। তবে এটা প্রশিক্ষক ভেদে কম-বেশী হতে পারে।
পড়ার সাজেশনঃ
► কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরির সহজ উপায়
► অনলাইন ইনকাম | অনলাইন আয়ের সহজ উপায়
► ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন
(৩) এসইও শেখার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো এসইওর ভিডিও কোর্স করা। ভিডিও কোর্স বলতে অনেক প্রতিষ্ঠান এসইও বিষয়ে তাদের বেশকিছু লেকচারকে ভিডিও আকারে তৈরি করে। পরবর্তীতে এই লেকচার গুলোকে বিভিন্ন উপায়ে তারা বিক্রি করে। যেমনঃ ডিভিডি বা কোন অনলাইন সাইট এর সাহায্যে।
ভিডিও কোর্স এর এমনই একটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান হলো ’ইউডেমি’। ইউডেমিতে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের মানুষ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও কোর্স এর সাহায্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। আপনি চাইলে তাদের থেকে ভিডিও কোর্স ক্রয় করে এসইও শিখতে পারেন। তবে এই ধরণের এসইও কোর্স কিনতেও বেশ টাকার প্রয়োজন হয়। এক্সামপল: ৫ -৫০ হাজার + টাকা লাগতে পারে। তবে এটা এসইও এক্সপার্ট বা প্রশক্ষক ভেদে টাকার পরিমাণটা কম-বেশী হতে পারে।
(৪) এসইও শেখার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইউটিউব ভিডিও দেখে। ইউটিউবে অনেক এসইও এক্সপার্ট আছে, যারা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এসইও কোর্স করায় না। তবে তারা ইউটিউবের মাধ্যমে এসইও সম্পর্কে বিনামূল্যে সবাইকে কাজ শেখায়। তারা এজন্য কোন পারিশ্রমিক বা টাকা নেয় না। আপনি চাইলে তাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে এসইও শিখতে পারেন।
(৫) এসইও শেখার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট। আপনার ভাষায় বা ডিফারেন্ট ভাষায় এমন অগণিত ওয়েবসাইট আছে, যারা বিন্যমূল্যেই এসইও সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তারমধ্যে আমাদের আইটি নির্মাণ -এর কথাই বলা যাক। আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে এসইও বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লিখছি। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এসইও বিনামূল্যেই শিখে নিতে পারেন। আমাদের পুরো এসইও কোর্সটি এখন থেকে দেখে নিনঃ এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ
এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে হলে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এসইওর কাজ শুরু করতে হবে। তবেই আপনি এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো কিছু করার সুযোগ পাবেন। এসইও বিষয়টা পুরোই ধৈর্যের উপর ভিত্তি করে। এসইওর টার্গেট বা উদ্দেশ্য কখনই একদিনে পূরণ করা যায় না। এর পেছেনে অনেক সময় দিতে হয়। তবেই এসইওতে সফলতা আসে।
এসইও (SEO) শিখতে কতদিন লাগে আশাকরি এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। তবে ১ মাসেই যে আপনি এসইও এক্সপার্ট হয়ে যাবেন তা কিন্তু নয়। তবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে এসইও এক্সপার্ট হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র! আপনি যদি সত্যিই এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চান, তবে এখন থেকেই এসইওর কাজ শেখা শুরু করে দিন।
পড়ার সাজেশনঃ
► বাউন্স রেট (Bounce Rate) কি? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর সেরা ১০ উপায়
► On Page SEO -এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু HTML Tags
► ব্যাকলিংক কি? ব্যাকলিংক কিভাবে কাজ করে?
এসইও বিষয়ে বেশকিছু প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি। আমি আশা করছি, এসইও শিখতে কতদিন লাগে, এসইওতে কেমন ক্যারিয়ার, এসইও কোথায় শিখবেন ইত্যাদি এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
পরবর্তীতে এসইও বিষয়ে আরো কথা হবে ইনশাআল্লাহ। এই লেখাটি আপনার কাছে কেমন লাগলো তা জানাবেন। আর হ্যাঁ, এই বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন বা নিজস্ব মতামত থাকলে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাই। এসইও সিক্রেট গুলো জানাটা খুবই কষ্টকর। বাংলাদেশী কোর্সগুলোতে এসইওর গভীরের জ্ঞান শেখানো হয় না। ওরা শুধু অনপেজ এসইও, অফপেজ এসইও এবং কিওয়ার্ড রিসার্চের কথা দিয়েই পুরো কোর্স শেষ করে দেয়।
বরাবরের মতই আপনার এই লেখাটাও ভালো লাগল ভাই। এসইও বিষয়ে আরো লেখা চাই
রাকিব ভাই, পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খুবই তথ্যভিত্তিক লেখা। ভাল লেগেছে
পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খুবই ভালো আইডিয়া। আপনাদেরকে ধন্যবাদ
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ প্রিয়!
ধন্যবাদ ভাই।আমি একজন নতুন এসইও শিখার জন্য আসছি আমার কাছে আপনার এই তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে ধন্যবাদ ভাই আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার জন্য
প্রিয় পাঠক ভাই! আপনারা যদি আমার মাধ্যমে উপকৃত হন তবেই আমার এই প্রচেষ্টা সার্থক। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। এসইও শেখার মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যান এই প্রত্যাশা
নাকিব ভাই,
আমার সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন।
আমি আপনার লিখাটা মনদিয়ে পড়লাম। খুব তথ্যবহুল ও পরামর্শমুলক লেখা।
তবে আমাকে কি একটা পরামর্শ দেওয়া যায়-
আমি আসলে একজন ফ্রিল্যাংচার হতে চাই, কারন আমি দেশের অনেকগুলো কোম্পানিতেই যেমন মেঘনা, এএমএল, টিকে, ডিবিবিল, প্রান ইত্যাদি গ্রুপে জব করেছি। তবে এক্ষেত্রে আমার অভিঙ্তা হলো – আপনার সততা, কাজের প্রতি ডেডিকেশনের কোন মুল্য নেই। মুল্য হলো তেলবাজী, যা আমার দ্বারা কষ্টকর। তাই আমি বর্তমানে জব লেস বা বেকার।
ভাই, উল্যেখ থাকে যে, আমার বাবা আমার দেখা একজন সৎ, মানুষ এবং আমার আদর্শ। ফলে প্রথম জীবনে কয়েকটি সরকারি চাকুরীর ভাইবা বোর্ডে যাওয়া সত্যেও অজানা কারনে চাকুরীগুলো হয়নি।
ভাই, বর্তমানে আমার বয়স ৪২.৬ এবং আমি এমবিএ সহ মাষ্টারস। সাধারন কম্পিউটার ইউজসহ, ইন্টারনেট ইউজার।
খুব শীঘ্রই ইনকাম করতে হবে তাও না।
আমি ফ্রিল্যাংচারের কোন ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ গড়তে পারি?
পরামর্শ দিলে উপকৃত হবো।
ধন্যবাদ
প্রিয় বড় ভাই, আপনার সালাম আমি বিনয়ের সাথে গ্রহণ করলাম।
আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। অনলাইন বিষয়টা সহজেই বুঝবেন। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার সেক্টররা বেশ বড়। এখানে কম্পিউটার ভিত্তিক প্রায় সব ধরণের কাজ করেই আয় করা যায়। তবে কিছু বিষয় আছে সহজ, আবার কিছু বিষয় কঠিন। আমি আপনাকে কয়েকটি কাজের কথা বলি, তাহলে সহজেই বুঝবেন।
যদি ১ বছর সময় হাতে থাকে, তবে আপনি ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখতে পারেন। বর্তমান বিশ্বে এটি খুবই জনপ্রিয় হাই ডিমান্ডেবল একটি স্কিল। অনলাইনে এই কাজের ডিমান্ড অনেক।
আর যদি ৬ মাসের ভেতরেই স্কিল ডেভেলপ করতে চান, তবে আমি আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কথা বলবো। এটিও খুব জনপ্রিয় একটি স্কিল, যেটা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেশ সুইটেবল।
তারপর পরের বিষয়টা ডিজিটাল মার্কেটিং। এটা শেখার জন্য এক মাসই যথেষ্ট। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে নিজেকে অভিজ্ঞ করে তুলতে হয়ত ৩ মাস সময় লাগতে পারে। এটিও ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেশ ভালো।
আর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এই কাজগুলোর দিকে এই মূহুর্তে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
আবার SEO নিয়ে কাজ করতে গেলে আপনাকে অনেক বেশী ধৈর্যশীল হতে হবে। অনেক সময় দিতে হবে। তাই এই বিষয়ে তেমন কিছুই বলনি।
আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে পাড়েনঃ https://www.itnirman.com/ফ্রিল্যান্সিং-ক্যারিয়ার/
ব্লগার নকীব ভাই মানেই অন্যকিছু। আপনার কাছেই কেবল ইনস্ট্যান্ট উত্তর পাওয়া যায়। শুভ কামনা
তথ্যবহুল একটি লেখা। লেখায় অনেকগুলো রিসোর্স এর ব্যবহার দেখানো হয়েছে
চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয়!