চলে এলো উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম

চলে এলো উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম

বিশ্ব বিখ্যাত জনপ্রিয় সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। বেশ কিছুদিন আগে তারা উইন্ডোজ ১১ নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে টুইটারে একটি পোস্ট করেছিল। পোস্টের শেষে জুড়ে দিয়েছিল, চোখ রাখুন ২৪ জুন।

আজই সেই ২৪ জুন। তারা তাদের কথা রেখেছে। দৃষ্টিনান্দন ফিচার দিয়ে অফিসিয়িালি উইন্ডোজ ১১ এর ঘোষণা দিলো মাইক্রোসফট।

উইন্ডোজ ১১ এর ফিচারে যা যা থাকছে

উইন্ডোজ ১১ এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলোর কথা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন টেক সাইট বা টেক ফোরামে বলা হচ্ছে। তাছাড়া মাইক্রোসফট অফিসিয়ালি কিছু ফিচারের কথা উল্লেখ করেছেন। তারমধ্যে রয়েছেঃ-

👉 রাউন্ডেড কর্নার, নতুন উইজেট এবং মাল্টি-টাস্কিংসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এসেছে উইন্ডোজ ১১ তে।

👉 সর্ব প্রথমে চোখে পড়ার মতো সেই ফিচারটি এসেছে তা হলো উইন্ডোজ 11 এর Start বাটনের আইকন গুলো বাইডিফল্ড মাঝখানে থাকবে।

উইন্ডোজ ১০, ৮ এবং ৭ এর Start বাটন কিন্তু বাইডিফল্ড বামপাশে ছিল। তবে উইন্ডোজ ১১ এর ক্ষেত্রে কোনো বাঁধা থাকছে না।

Start বাটন ডিফল্ড ভাবে মাঝখানে থাকলেও আপনি চাইলেই আপনার মতো করে ডানে-বামে করতে পারবেন।

চলে এলো উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমএটা দেওয়ার পেছনে মাইক্রোসফট যেটা বলছে, Windows 11 is centered around you. অর্থাৎ, উইন্ডোজ ১১ আপনার চারপাশ কেন্দ্রিক।

তারা এজন্যই হয়ত Start বাটনগুলো মাঝখানে দিয়েছে। সেইসাথে উইন্ডোগুলোকে ব্লার একটি ইফেক্ট দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রায় দেখতে ম্যাকের মতই মনে হয়। এটা খুবই ভালো লেগেছে।

👉 স্টার্ট মেনুকে পুরোপুরি নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে। এখন স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করলে প্রতিটি সফটওয়্যার আইকন হিসেবে প্রদর্শন করবে।

👉 এটা ছাড়াও উইন্ডোগুলোতে স্নেপ লেআউট নামে একটি অপশন যুক্ত করা হয়েছে যেটা মাল্টি-টাস্কিংয়ে ব্যবহার করলে অসাধারণ একটি লুক আসবে।

উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম👉 স্নেপ লেআউট ফিচারটি যদিও সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য তেমন ইউজফুল নয়। তবে যারা মাল্টি-টাস্কিং ব্যবহার করে তাদের জন্য খুবই ইউজফুল হবে।

👉 আরেকটি নতুন ফিচার হলো উইজেট। এটি খুবই চমৎকার একটি ফিচার। যেটাতে আবহাওয়া বার্তা, বিভিন্ন নিউজ পাওয়া যাবে। এটা অনেকটা ইউজফুল মনে হলো।

👉 উইন্ডোজ ১১ তে নতুন আরেকটি ফিচার হলো মাইক্রোসফট টিম ইনিস্টল থাকবে। মাইক্রোসফট টিম হলো জুম বা গুগল মিট এর মতই একটি সফটওয়্যার। যেটা দিয়ে ভিডিও কল, ভিডিও কনফারেন্স বা চ্যাটিং করতে পারবেন।

👉 Windows 11 এর বিগ ফিচার হলো এন্ড্রয়েডের অ্যাপগুলো নেটিভলি উইন্ডোজ ১১ এ রান হবে।

উইন্ডোজ ১১ এর ফিচারযদিও এটা নিয়ে অনেকের নানাবিধ মন্তব্য রয়েছে। অনেক এক্সপার্টরা বলছেন, সরাসরি মাইক্রোসফট স্টোর থেকে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ইনিস্টল করা যাবে না।

অ্যামাজন স্টোর থেকে ইনিস্টল করতে হবে। তবে এই বিষয়ে এখনো মাইক্রোসফট তেমন কোন ক্লিয়ার ধারণা দেয়নি।

👉 এগুলো ছাড়াও উইন্ডোজ ১১ এর পারফর্মেন্সে কিছুটা বুস্ট এসেছে। সেইসাথে গেম এর  গ্রাফিক্সেও ইমপ্রুভমেন্ট এসেছে। এটা পার্সোনালি ট্রাই করা হয়নি। তবে এই বিষয়টা মাইক্রোসফট জানিয়েছে।

👉 উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮ ও ১০ যেভাবে ব্যবহার কারীদের জন্য আপডেট ফ্রি ছিল, ঠিক সেভাবেই উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারীরা ফ্রিতেই আপডেট পাবে।

👉 যারা ইতোমধ্যে উইন্ডোজ ১০ এর লাইসেন্স কী কিনেছেন, তারা বিনামূল্যেই উইন্ডোজ ১১ এর সুইচ করতে পারবেন।

উইন্ডোজ ১১ এর সিস্টেম রান করার ক্ষেত্রে

👉 ৬৪-বিট সিপিইউ (64 Bit Processor ),
👉 ৪ জিবি র‍্যাম (4 GB RAM),
👉 ৬৪ জিবি স্টোরেজ (64 GB Disk space ) ইত্যাদি।

মতামত এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ

উইন্ডোজ ১১ কিন্তু উইন্ডোজ ১০ এর উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, উইন্ডোজ ১১ তে বিশাল কিছুর পরিবর্তন হবে। তবে আমি যেটা মনে করি, যেহেতু উইন্ডোজ ১০ এর উপর ভিত্তি করে উইন্ডোজ ১১ তৈরি হয়েছে, সেহেতু তেমন কোন বিশাল পরিবর্তনের ছোঁয়া পাবো না।

তবে এটা সত্য যে, উইন্ডোজ ১১ এর ফিচারগুলো উইন্ডোজ ১০ থেকে অনেক ডেভেলপ। লুকটাও বেশ সন্দর হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই জেনেছেন হয়ত উইন্ডোজ ১১ এর ISO ফাইলটি ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই এটি ব্যবহারও করছেন।

তবে মাইক্রোসফট থেকে এখনো অফিসিয়ালি উইন্ডোজ ১১ পাবলিশ করা হয়নি। তবে এবছরের শেষের দিকে উইন্ডোজ ১১ অফিসিয়ালি পাবলিশ হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

আপনি চাইলে উইন্ডোজ ১১ এর ISO ফাইল ছাড়াই উইন্ডোজ ১০ থেকে এখনই আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ ইনিস্টল করতে পরবেন! এজন্য আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন অবশ্যই থাকতে হবে।

উইন্ডোজ ০ এর Settings এ যান, তারপর Update & Security তে যান, অতঃপর Windows insider program  এ যান এবং আপনার মাইক্রোসফট একাউন্ট দিয়ে লগইন করুন।

নতুন একটি পেজ ওপেন হবে, তারপর এখানে কিছুক্ষণ সময় ধরে লোড হবে এবং উইন্ডোজ ১১ ডাউনলোড শুরু হবে যাবে। আপনার ইন্টারনেট যতবেশী স্পিড হবে তত দ্রুতই উইন্ডোজটি ডাউনলোড হবে এবং ডাউনলোড হওয়ার পর অটোমেটিক রিসেট নিয়ে উইন্ডোজ ০ থেকে উইন্ডোজ ১১ এ মুভ হয়ে যাবে। এভাবেই আপাতত ডেভেলপার ভার্সনটি ব্যবহার করতে পারবেন।

IT Nirman

যত জ্ঞান-ধন করেছি অর্জন জীবনের প্রয়োজনে,
তার সবটুকুই বিলাতে চাই সৃষ্টির কল্যাণে।

1 comment

Your Header Sidebar area is currently empty. Hurry up and add some widgets.