ইমেইল ও জিমেইল এর পার্থক্য কী?

ইমেইল ও জিমেইল এর পার্থক্য কী

ইন্টারনেটের সাহায্যে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য ইমেইল এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ইমেইল পরিষেবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হলো জিমেইল। ইমেইল ও জিমেইল এর পার্থক্য কি তা জানার কৌতুহল কম-বেশি সকলেরই রয়েছে।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোরাম ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে বিভিন্ন মানুষ তর্কে -বিতর্কে জড়ায়, আবার অনেকেই জানার উদ্দেশ্যে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নও করেন।

ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেক বড় একটি অংশ মনে করেন ইমেইল ও জিমেইলের মধ্যকার পার্থক্যটি অনেক বিশাল। আবার অনেকেই বলেন এই দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য বলতে কিছুই নেই।

আরো জানুনঃ জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো?

আজ আমি আপনাদের সাথে এই প্রশ্নটির যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। প্রাসঙ্গিক সকল বিষয় বিভিন্ন গ্রন্থ ও ইন্টারনেটের ট্রাস্টেড সোর্স এর মাধ্যমে প্রামাণ্য তথ্যের সমাহার ঘটিয়ে ইমেইল ও জিমেইল এর পার্থক্য নিচে উপস্থাপন করা হলো।

ইমেইল কি?

ইমেইল (Email) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক মেইল (Electronic Mail). অর্থাৎ কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং মোবাইল সহ প্রায় সকল ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে ডিজিটাল ফাইল এবং বার্তা আদান-প্রদানের একটি প্রযুক্তিগত মাধ্যম।

একজন ব্যবহারকারী ইমেইল এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সকল পরিষেবার সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। কম্পিউটিং ক্ষমতা আছে এমন বেশিরভাগ ডিভাইসে ডিফল্টরূপে ইমেইল সিস্টেমের সাথে আসে।

একজন ব্যবহারকারী যেকোনো ইমেইল পরিষেবা প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়ে এই সিস্টেমটি তার ডিভাইসে সক্রিয় করতে পারে। এটি একটি বেসিক ইউজার ইন্টারফেস এবং একটি টেক্সট এডিটর, যেখানে কম্পোজ, ছবি, অডিও, ভিডিও সহ বিভিন্ন ধরণের ফাইল পাঠানো যায়।

আরও পড়ুনঃ ইমেইল পাঠানোর নিয়ম (কম্পিউটার ও মোবাইল)।

এজন্য প্রেরক এবং প্রাপক উভয়েরই ইমেল পাঠানো এবং গ্রহণ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ইমেল ঠিকানা থাকতে হবে।

জিমেইল কি?

জিমেইল (Gmail) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে গুগল মেইল (Google Mail). এটি গুগল কোম্পানির একটি নিজস্ব পরিষেবা।

আপনি হয়তোবা ইয়াহু মেইল, হট মেইল, ওয়েব মেইল ইত্যাদি নাম শুনে থাকবেন। এই সবগুলোই ইলেক্ট্রনিক মেইলেরই একটি অংশ। জিমেইলও তারমধ্যে একটি।

জিমেইলকে ইমেইল এর কম্পিটিটির বা বিকল্প বলা যাবে না। বরং Gmail হলো Email প্রযুক্তির একটি শাখা। তবে এটা সত্য যে, ইমেইল প্রযুক্তিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো জিমেইল।

জিমেইল একটি ওয়েব-ভিত্তিক প্রযুক্তি যা একজন ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিজিটাল তথ্য/বার্তা/ফাইল বিনিময় করতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুনঃ বাংলা ও ইংরেজিতে ইমেইল লেখার নিয়ম

Gmail-এর অনেকগুলো অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম সেরা বৈশিষ্ট্য হলো এটি GB (গিগাবাইট) ডেটা সঞ্চয় করার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া, তথ্য আদান প্রদানের তারা সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা প্রদান করে।

ইমেল এবং জিমেইলের মধ্যে পার্থক্য

মেইল জিমেইল
ই-মেইল
ইলেকট্রনিক
মেইলকে
বোঝায়।
জি-মেইল
গুগল
মেইলকে
বোঝায়।
এটি
ইলেকট্রনিক
বার্তা পাঠানো
এবং গ্রহণ করার
প্রক্রিয়া যাতে পাঠ্য,
গ্রাফিক্স, ছবি বা
ভিডিও থাকতে
পারে।
এটি একটি
প্ল্যাটফর্ম
যার মাধ্যমে
ইমেইল পাঠানো
বা গ্রহণ
করা যায়।
এটি
ইন্টারনেটের
মতো একটি
যোগাযোগ
নেটওয়ার্কের
মাধ্যম, যা
বার্তা স্থানান্তর
বা বিনিময়
করতে
ব্যবহৃত হয়।
এটিতে বিভিন্ন
বৈশিষ্ট্য যেমন
ইমেইল অনুস্মারক,
ভাইরাস সুরক্ষা,
স্প্যাম ফিল্টারিং
এবং আরও
অনেক
কিছু সরবরাহ
করে।
এটি তথ্য
বিনিময়ের
একটি পদ্ধতি।
এটি অন্যান্য
অনেক ইমেইল
সিস্টেমের মতো
যা ওয়েব এবং
POP-ভিত্তিক
ইন্টারফেসের
সাথে আসে।
এটিতে
প্রতিদিন প্রতি
চার ঘন্টায়
একটি সিঙ্ক
সময় রয়েছে।
এটির সর্বোচ্চ
সিঙ্ক সময়
প্রতিদিন
মাত্র এক ঘন্টা।
এটি ইউআরএল
গুলোকে ট্যাপ-
সক্ষম লিঙ্ক
হিসাবে দেখায়।
এটি ট্যাপ-
সক্ষম
লিঙ্কগুলোকে
সমর্থন করে না।
এটি বিজ্ঞাপনের
সাথে জড়িত নয়।
এটি অর্থ প্রদানের
মাধ্যমে বিস্তৃত
দর্শকদের কাছে
বিজ্ঞাপনের
সাথে জড়িত।
এটিতে দিন
বা এমনকি
সপ্তাহ নির্বাচন
করে সর্বোচ্চ
সিঙ্ক সময় সেট
করার সুবিধা
রয়েছে।
এতে এই
সুবিধা নেই।
ইমেল কোনো
এক্সটেনশন
সমর্থন করে না।
জিমেইল
এক্সটেনশন
সমর্থন করে।
ইমেইলে কোন
সময়সূচী বিকল্প
নেই।
একটি নির্দিষ্ট
সময়ে ইমেল
শিডিউল করতে
Gmail ব্যবহার
করা যায়।

উপরোক্ত বিষয় গুলোই হলো ইমেইল ও জিমেইল এর পার্থক্য। তবে এটা মনে রাখতে হবে ইমেইল হলো প্রযুক্তিগত ভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ সিস্টেমের নাম। আর জিমেইল তার একটি শাখা।

আশাকরি আপনারা ইমেইল এবং জিমেইল এর সাধারণ পার্থক্য সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। এই বিষয়ে যদি আরও প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

IT Nirman

যত জ্ঞান-ধন করেছি অর্জন জীবনের প্রয়োজনে,
তার সবটুকুই বিলাতে চাই সৃষ্টির কল্যাণে।

Add comment

Your Header Sidebar area is currently empty. Hurry up and add some widgets.