আমরা যখন কোন কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন কিনতে যাই তখন প্রথমেই সেই কাঙ্খিত ডিভাইসের Processor বা CPU সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা শুনে থাকি। এটা সত্য যে, প্রত্যেকটা ডিজিটাল ডিভাইসের প্রধাণ হার্ডওয়্যার হিসেবে প্রসেসরকেই ধরা হয়। তবে প্রসেসর কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে তা আমাদের বেশীরভাগ মানুষই জানি না। তাদের জন্যই এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষের জীবন-যাত্রার মান উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি। তারমধ্যে রয়েছে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল ফোন ইত্যাদি।
আমরা কখনও কি ভেবে দেখেছি যে, এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো কিসের উপর ভিত্তি করে চলমান? অনেকেই হয়ত বিভিন্ন ভাবে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করবেন। তবে ফাইনালি সবাই একটি বিষয়ে একমত যে, প্রত্যেকটা ডিজিটাল ডিভাইস প্রসেসর এর মাধ্যমে ডিভাইসের সমস্ত বিষয় প্রসেসিং করে থাকে।
কম্পিউটার প্রসেসর অথবা মোবাইল প্রসেসর যাই বলুননা কেন, যে কোন ডিভাইসের Processor এর কাজ প্রায় একই। প্রসেসর এর কাজ কি তা জানার আগে আপনাকে জানতে হবে প্রসেসর কাকে বলে।
Table of Contents
প্রসেসর কি?
প্রসেসর হলো কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার। যেটাকে CPU বা Central Processor Unit বলা হয়।
প্রকৃত অর্থে প্রসেসর একটি স্বয়ংসম্পন্ন এবং প্রোগ্রামেবল গানিতিক ইঞ্জিন, যেটাকে পিউর সিলিকন ও ট্রানজিস্টারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়।
Processor প্রত্যেক ডিজিটাল ডিভাইসের যাবতীয় প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ এবং প্রসেসিংয়ের সকল কাজ সম্পাদন করে থাকে।
অর্থাৎ, আমরা যখন নির্দিষ্ট কোন কম্পিউটার সফটওয়্যারে কাজ করি, তখন প্রসেসর সেই সফটওয়্যারের প্রোগ্রামকে প্রসেস বা প্রক্রিয়াজাত করে কম্পিউটার স্ক্রিনে তার আউটিপুট প্রদর্শন করে।
যেমন ধরুন আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের মেমোরিতে একটি ভিডিও রেখেছেন। যখন সেই ভিডিওটি কোন Video Player দিয়ে ওপেন করার জন্য ভিডিওটিতে ক্লিক করেন, তখন সেই ভিডিওটি আপনার ডিভাইসের Processor এর মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত হয়ে স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়। তখনই মূলত আপনি সেই ভিডিওটি দেখতে পারেন।
আমরা প্রতিনিয়ত যেই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহার করি যেমন: কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এসব ডিভাইসগুলোতে প্রসেসর থাকে।
- পড়ুনঃ কম্পিউটার কি? আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে?
প্রত্যেকটা প্রসেসরকে কাঙ্খিত ডিভাইসের উপযোগী করে তৈরি করা হয়। তবে প্রসেসরের মূল লক্ষ্য বা টার্গেট হয় একটাই। এজন্য প্রসেসর এর গঠন ও কাজ এর উদ্দেশ্যে তেমন ফরাক থাকে না।
প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?
প্রতিটি প্রসেসরের শক্তিমত্তা বা কার্যক্ষমতা কেমন হবে তা বেশ কয়েকটি জিনিসের উপর নির্ভর করে। তারমধ্যে যেমনঃ
- Clock Speed -ক্লক স্পিড,
- Number Of Cores -নাম্বার অফ কোর,
- Cache Memory -ক্যাশ মেমোরি,
- FSB – এফএসবি ইত্যাদি।
একটি প্রসেসরের জন্য উক্ত ফিচার গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন প্রসেসরের শক্তি বা ক্ষমতা এই বিষয়গুলোর মধ্যে নিহিত থাকে।
Clock Speed কি?
ক্লক স্পীড হলো ক্যালকুলেশন বা হিসেব করার সক্ষমতা। অর্থাৎ, একটা প্রসেসর সেকেন্ডে কত ক্যালকুলেশন হিসেব করতে পারবে এটার ক্ষমতা।
Clock Speed কে GHz বলা হয়। GHz এর পূর্ণরূপ হলো Gigahertz . এখানে G মানে Giga এবং Hz মানে hertz . GHz হলো Alternating current (AC) বা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিং ওয়েভ ফ্রিকুয়েন্সি ( Electromagnetic (EM) wave frequencies ) -এর পরিমাপের একক ।
অর্থাৎ, 1 GHz এর মান = 1,000,000,000 Hz হবে. GHz সম্পর্কে প্রতিটা প্রসেসরের গায়েই লেখা থাকে। যেমন: 2.50 GHz, 3.70 GHz, 4.60 GHz, 5.00 GHz ইত্যাদি।
Number Of Cores কি?
প্রসেসরের কার্য ক্ষমতাকে Core বলা হয়। অর্থাৎ, একসাথে কতগুলো কাজ করতে পারবে?
যেমন ধরুন, একটি বিল্ডিং নির্মাণ করতে ১০ জন শ্রমিকের যদি ৩০ দিন লাগে তবে ২০ জন শ্রমিকের কতদিন লাগবে? উত্তর অবশ্যই ১৫ দিন। Core এর হিসেবটাও প্রায় এমনই।
প্রসেসরের Core যত বেশী হবে কম্পিউটারের পারফর্মেন্স ততই ভালো হবে। কেননা, Core বেশী থাকার কারণে প্রসেসর দ্রুতই কাজ সম্পাদন করতে পারবে।
ক্যাশ মেমোরি কাকে বলে?
কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় মেমোরি হলো HDD এবং SSD হার্ডড্রাইভ (Hard drive) । তারপর হলো র্যাম (RAM)। কিন্তু Processor যখন SSD বা HDD থেকে সরাসরি Data প্রসেস করে তখন Process হতে বেশ সময় লাগে।
এজন্য Data প্রসেসিং-এর সময় কামানোর জন্য প্রসেসরে এক ধরণের মেমোরি যোগ করা হয়েছে। যার নাম Cache মেমোরি। সাইজের দিক দিয়ে ক্যাশ মেমোরি খুবই ছোট। তবে প্রসেসরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এর ব্যবহার অতুলনীয়।
Cache মেমোরিতে এমন কিছু ডেটা ধারণ করা হয়, যা অল্প সময়ের ভেতর আমরা বারবার ব্যবহার করে থাকি। যেই ডেটাগুলো প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে, সেই ডেটাকে প্রসেসর দ্বিতীয়বার নতুন করে প্রসেস করে না। এর ফলে পুরো প্রোগামের Processing টাইম কমে আসে।
প্রসেসরের ধরণ অনুযায়ী Cache মেমোরির সাইজ যথাক্রমে 3 MB, 6 MB, 8 MB, 10 MB, 16 MB, 32 MB ইত্যাদি ধরণের হয়ে থাকে। প্রসেসরের Cache মেমোরি যত বেশী হবে প্রসেসর তত বেশী Data ধারণ করতে পারবে এবং একই ডেটা দ্বিতীয়বার ব্যবহারে দ্রুত কাজ করবে।
FSB কি?
FSB হলো Front Side Bus. অর্থাৎ, প্রসেসরের সাথে RAM কত দ্রুত ডেটা আদান প্রদান করতে পারছে। FSB যত ভালো হবে CPU তত দ্রুতই র্যাম, মাদারবোর্ড সহ অন্যান্য যন্ত্রের সাথে ডেটা আদান প্রদান করতে পারবে।
বর্তমান বাজারে প্রচলিত প্রসেসর গুলোতে এখন আর FSB ব্যবহার করা হয় না। তবে FSB এর পরিবর্তে QPI ( Quick Path Interconnect ) ব্যবহার করা হয়। এটা FSB থেকে আরো আপডেট প্রযুক্তি ও শক্তিশালীও বটে।
প্রসেসর কত প্রকার ও কি কি?
ডিভাইসের ধরণ অনুযায়ী প্রসেসর এর প্রকারভেদ রয়েছে। আমি আপনাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলব। তবে একটি বিষয় শুরুতেই পরিস্কার করতে চাই, তা হলো Processor শব্দটি CPU ছাড়াও অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ Word processor । ওয়ার্ড প্রসেসর কি জেনে নিনঃ
- পড়ুনঃ ওয়ার্ড প্রসেসর কি?
এখন Central Processor Unit (সিপিইউ) বা প্রসেসরের সংগঠন বর্ণনা করবো। কম্পিউটার এবং মোবাইলের বেশ কয়েকটি প্রসেসরের নাম আলাদা ভাবে তুলে ধরা হলো।
কম্পিউটার প্রসেসর (CPU)
বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরণের প্রসেসর পাওয়া যায়। কম্পিউটার প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে Intel এবং AMD এর প্রসেসরগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়।
intel Processor – ইন্টেল প্রসেসর
ইন্টেল এর প্রসেসর এর বেশ কয়েকটি ভার্সন রয়েছে এবং নামেও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। প্রসেসরের রিলিজ ডেট সহ নিচে তুলে ধরা হলো।
i80386 (1985 থেকে 1990)
i80486 (1989 থেকে 1992)
ইন্টেল পেন্টিয়াম (1993 থেকে 1999)
ইন্টেল পেন্টিয়াম প্রো (1995 থেকে 1998)
ইন্টেল পেন্টিয়াম এমএমএক্স (1996 থেকে 1999)
ইন্টেল পেন্টিয়াম || (1997 থেকে 1999)
ইন্টেল সেলেরন (1998 থেকে এখন পর্যন্ত)
ইন্টেল জিওন (1998 থেকে এখন পর্যন্ত)
ইন্টেল পেন্টিয়াম ||| (1999 থেকে 2003)
পেন্টিয়াম 4 (2000 থেকে 2008)
পেন্টিয়াম 4 (2000 থেকে 2008)
পেন্টিয়াম এম (2003 থেকে 2008)
পেন্টিয়াম ডি/ইই (2005 থেকে 2008)
ইন্টেল কোর (2006 থেকে 2008)
ইন্টেল পেন্টিয়াম ডুয়াল কোর (2006 থেকে 2009)
ইন্টেল কোর 2 (2006 থেকে 2011)
ইন্টেল অ্যাটম (2008 থেকে 2009)
ইন্টেল কোর i7 (2008 থেকে এখন পর্যন্ত)
ইন্টেল পেন্টিয়াম (2009 থেকে এখন পর্যন্ত)
ইন্টেল কোর i5 (2009 থেকে এখন পর্যন্ত)
ইন্টেল কোর i3 (2010 থেকে এখন পর্যন্ত)
ইন্টেল কোর i7 (2011 থেকে এখন পর্যন্ত)
ইন্টেল কোর i9 (এক্সট্রিম সংস্করণ)
এগুলো ছাড়াও intel কোম্পানির আরো বিভিন্ন নামের প্রসেসর বাজারে রয়েছে। চলুন এবার এএমডি প্রসেসর এর একটি লিস্ট দেখে নিই।
AMD Processor -এএমডি প্রসেসর
এএমডি থ্রিড্রিপার 3960X
এএমডি থ্রিড্রিপার 1900X
এএমডি থ্রিড্রিপার 1920X
এএমডি থ্রিড্রিপার 1950X
এএমডি থ্রিড্রিপার 2950X
এএমডি থ্রিড্রিপার 2990WX
এএমডি থ্রিড্রিপার প্রো 3955WX
এএমডি রাইজেন 9 3950X
এএমডি রাইজেন 9 3900XT
এএমডি রাইজেন 9 3900X
এএমডি রাইজেন 7 5800X
এএমডি রাইজেন 9 5950X
এএমডি রাইজেন 9 5900X
এএমডি রাইজেন 7 5700G
এএমডি রাইজেন 7 3800X
এএমডি রাইজেন 5 5600X
এএমডি রাইজেন 7 3800XT
এএমডি রাইজেন 5 5600
এএমডি রাইজেন 7 3700X
এএমডি রাইজেন 5 5500
এএমডি রাইজেন 5 3600XT
এএমডি রাইজেন 5 3600X
এএমডি রাইজেন 5 3600
এএমডি রাইজেন 7 2700X
এএমডি রাইজেন 3 3300X
এএমডি রাইজেন 5 2600X
এএমডি রাইজেন 3 3100
এগুলো ছাড়াও AMD কোম্পানির আরো বিভিন্ন নামের প্রসেসর বাজারে রয়েছে। চলুন এবার মোবাইল প্রসেসর এর একটি লিস্ট দেখে নিই।
- পড়ুনঃ কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট সমূহ।
Mobile Processor – মোবাইল প্রসেসর
অ্যাপল A8
অ্যাপল A9
অ্যাপল A10 ফিউশন (Fusion)
Apple A11 বায়োনিক (Bionic)
Apple A12 বায়োনিক (Bionic)
Apple A13 বায়োনিক (Bionic)
Apple A14 বায়োনিক (Bionic)
স্ন্যাপড্রাগন 855
স্ন্যাপড্রাগন 778G
স্ন্যাপড্রাগন 780G
স্ন্যাপড্রাগন 855 Plus
স্ন্যাপড্রাগন 865
স্ন্যাপড্রাগন 865 Plus
স্ন্যাপড্রাগন 870
স্ন্যাপড্রাগন 888
স্ন্যাপড্রাগন 888 Plus
স্ন্যাপড্রাগন 845
স্ন্যাপড্রাগন 765G
স্ন্যাপড্রাগন 750G
স্ন্যাপড্রাগন 835
স্ন্যাপড্রাগন 730G
স্ন্যাপড্রাগন 730
স্ন্যাপড্রাগন 675
স্ন্যাপড্রাগন 712
স্ন্যাপড্রাগন 670
স্ন্যাপড্রাগন 660
স্ন্যাপড্রাগন 710
স্ন্যাপড্রাগন 439
স্ন্যাপড্রাগন 665
স্ন্যাপড্রাগন 636
স্ন্যাপড্রাগন 653
স্ন্যাপড্রাগন 650
স্ন্যাপড্রাগন 632
স্ন্যাপড্রাগন 630
স্ন্যাপড্রাগন 652
স্ন্যাপড্রাগন 626
স্ন্যাপড্রাগন 450
স্ন্যাপড্রাগন 625
স্ন্যাপড্রাগন 616
স্ন্যাপড্রাগন 617
স্ন্যাপড্রাগন 435
কিরিন 9000
কিরিন 990 5G
কিরিন 990
কিরিন 985
কিরিন 820
কিরিন 980
কিরিন 810
কিরিন 970
কিরিন 960
কিরিন 955
কিরিন 950
কিরিন 710
কিরিন 659
কিরিন 658
কিরিন 650
কিরিন 655
কিরিন 935
কিরিন 930
কিরিন 928
কিরিন 925
কিরিন 920
এক্সিনোস 1080
এক্সিনোস 9825
এক্সিনোস 990
এক্সিনোসs 9820
এক্সিনোস 9810
এক্সিনোস 980
এক্সিনোস 8895
এক্সিনোস 8890
ডিমেন্সিটি 820
ডিমেন্সিটি 800
ডিমেন্সিটি 800U
ডিমেন্সিটি 1000+
ডিমেন্সিটি 1000L
ডিমেন্সিটি 1200
হেলিও G90T
হেলিও G80
হেলিও X30
হেলিও P90
হেলিও P70
হেলিও P60
হেলিও X23
হেলিও X27
হেলিও P23
হেলিও P35
হেলিও P25
হেলিও P22
হেলিও P30
এগুলো ছাড়াও Mobile এর জন্য আরো বিভিন্ন ধরণের প্রসেসর রয়েছে।
উল্লেখ্য বিষয় হলো, কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে ব্যবহৃত প্রসেসর গুলো একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ঠিক তেমনী ভাবে মোবাইল এবং ট্যাব এর প্রসেসর গুলোও একই প্রযুক্তিতে তৈরি হয়।
- পড়ুনঃ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কি এবং এর জনক কে?
Processor এমন একটি হার্ডওয়্যার, যেটা তৈরি করা খুবই ব্যয়বহুল এবং কঠিন কাজ। তাই সারা পৃথিবীতে মাত্র ৩-৬ টা দেশের কাছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যমান।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক, আমি চেষ্টা করেছি প্রসেসর কি এবং প্রসেসর এর গঠন ও কাজ সম্পর্কে আপনাকে ধারণা দেওয়ার জন্য। তাছাড়া প্রসেসর এর প্রকারভেদ নিয়েও আলোচনা করেছি।
এখন থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন ইত্যাদি কেনার ক্ষেত্রে আগে কাঙ্খিত ডিভাইসে ব্যবহৃত প্রসেসর সম্পর্কে জেনে নেবেন। বিশেষ করে প্রসেসরের Clock Speed, Number Of Cores, Cache Memory এবং FSB বিষয়ে জানতে চেষ্টা করবেন।
কারণ, প্রত্যেকটা ডিজিটাল ডিভাইস প্রসেসরের উপর ভিত্তি করেই তার শক্তিমত্তা ও কার্যকারীতা নির্ণয় হয়। আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন তবে আশা করা যায়, কারো হেল্প ছাড়াই ভালো মানের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব এবং স্মার্টফোন ইত্যাদি কেনার জন্য আপনিই যথেষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রসেসর নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করেন। যেমন, প্রসেসরের কাজ কি, প্রসেসর কি দিয়ে তৈরি, কম্পিউটারের প্রসেসর কোথায় থাকে ইত্যাদি। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
আপনার যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আমি যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
খুবই সুন্দর লেখাটি। ভাই র্যাম কিভাবে কাজ করে? এই বিষয়ে কিছূ বলবেন
ইনশাআল্লাহ। আমাদের সাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন।