অনেক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এমন হয় যে, দারিদ্রতার কারণে স্কুল বা কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় ভর্তির পুরো ফি পরিশোধ করতে পারে না। এহেন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের কাছে ভর্তির টাকা কমানোর জন্য আবেদন পত্র লিখলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থী স্কুল- কলেজ বা মাদ্রাসার হোন না কেন, অনেকেরই পারিবারিক ভাবে আর্থিক সমস্যাটি রয়েছে। এটা থাকতেই পারে। কিন্তু এজন্য পড়াশোনা বন্ধ করা যাবে না। শিক্ষার্থীকে ভর্তি ফি কমানোর জন্য আবেদন পত্র লিখে হলেও ভর্তি হয়ে যাওয়া উচিত।
এই ব্লগে আজ আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ভর্তির টাকা কমানোর জন্য দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার নমুনা উপস্থাপন করেছি। শিক্ষার্থী চাইলে এই নমুনা ফলো করে তার ভর্তি ফি কর্তৃপক্ষ থেকে কিছুটা হলেও কমিয়ে নিতে পারে।
ভর্তির টাকা কমানোর জন্য আবেদন পত্র লেখার নমুনা
তারিখ: ০২-১১-২০২৪ ইং
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
চাঁন মিয়া আদর্শ স্কুল এণ্ড কলেজ, বিছানাকান্দি, সিলেট।
বিষয়: ভর্তির টাকা কমানোর জন্য আবেদন পত্র।
মহোদয়,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ে একাধারে ৭ বছর ধরে পড়াশোনা করছি। প্রতিটি ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষাতেই আমি ভালো রেজাল্ট করেছি। এমনকি বোর্ড পরীক্ষাগুলোতেও আমার রেজাল্ট ছিল খুবই ভালো। আমি এসএসসিতে জিপিএ ৪.৯৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। এখন আমি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চাই। কিন্তু আমার পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্চল হওয়ার কারণে ভর্তির পুরো টাকাটা পরিশোধ করতে অক্ষম। এহেন পরিস্থিতিতে আমার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছি।
অতএব, আপনার নিকট আমার একান্ত আবেদন, একাদশ শ্রেণিতে আমার ভর্তির ফি কমিয়ে আমাকে পড়াশোনা করার সুযোগদানে আপনার সুমর্জি হয়।
নিবেদক-
নাম: আশরাফুল ইসলাম
পিতা: আবু তাহের
গ্রাম: বিছানাকান্দি
শ্রেণি: একাদশ
বিভাগ: মানবিক
মোবাইল: +880161*****35
- পড়ুন: ইনকোর্স পরীক্ষা না দিতে পারায় আবেদন পত্র (নমুনা কপি)
প্রিয় শিক্ষার্থী /পাঠক, মাদ্রাসা বা স্কুল- কলেজে ভর্তির টাকা কমানোর জন্য দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার নিয়ম মূলই এটিই। এভাবেই ভর্তি ফি কমানোর জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয়।
Add comment