হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন এই পৃথিবীবাসীর জন্য রহমত। তিনি যদিও মানুষ রূপে এই পৃথিবীতে এসেছেন, তবে তিনি কোন সাধারণ মানুষ নন; অসাধারণ মানুষ। স্রষ্টা নিজেই তাঁর প্রশংসা করেছেন।
তিনি আরবের মরুভূমি তথা মক্কা শহরের বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মাতার নাম আমেনা। তিনি ৪০ বছরে নবুয়ত প্রাপ্ত হন।
পরাক্রমশালি বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের প্রক্ষ থেকে মহাগ্রন্থ আল কুরআন সেই প্রিয়নবী (সা.) এর উপর অবতীর্ণ হয়। এবং তিনি স্রষ্টার এই ঐশী বাণীকে মানুষের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ আল্লাহর ৯৯ নামের ছবি আরবি -বাংলা অর্থসহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম মূলত দরূদ। মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি এতটাই সন্তুষ্ট যে, ফেরেশগণদের নিয়ে তিনি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর দরূদ পাঠ করেন।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অর্থ কি?
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর অর্থ হলো ”আল্লাহ তা’আলা তাঁর ওপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুক।
যখন একজন মুসলিম বা ফেরেশতা রাসূল (সা.) এর উপর দুরুদ পাঠ করে, তখন এর অর্থ তারা নবির কাছে এটি প্রেরণ করছে এবং আল্লাহ নিকট মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করছে।
একইভাবে যখন মহান আল্লাহ তা’আলা নিজেই নবীর প্রতি দুরুদ পাঠ করেন, এর অর্থ হচ্ছে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম আল্লাহ দ্বারা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন।
আরও পড়ুনঃ আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি? (ছবি সহ)
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজিলত
দরুদ শরীফ পাঠের বিভিন্ন ফজিলতের কথা হাদিসে পাওয়া যায়। তারমধ্য হতে কয়েকটি ফজিলতের কথা নিচে উল্লেখ করা হলো। –
১. ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তার ওপর দশবার দরুদ পাঠ করবেন।’ -সহিহ মুসলিম, হাদিস নং – ৩৮৪
২. ‘কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি সব লোকের তুলনায় আমার বেশি নিকটবর্তী হবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমার ওপর দরুদ পাঠ করবে।’ -সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং – ৪৮৪
দরুদ পাঠের ফজিলত সম্পর্কে আরও অনেক বড় হাদিস বর্ণিত আছে। দরুদ পাঠের গুরুত্ব বুঝাতে মহান আল্লাহ সুরা আল আহজাব এর ৫৬ নম্বর আয়াতে বলেন, ”নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরুদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।”
আরও পড়ুনঃ রমজানের ৩০ রোজার ফজিলত
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক, “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” বাক্যটিই শুধু দরুদ নয়, এটা ছাড়াও আরও অনেক দরুদ রয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বৈঠকে তাশাহুদ এর পর যে আমরা দরুদ শরীফ পাঠ করি, ওগুলোও দরুদ নামেই পরিচিত।
আবার এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন নামে দরুদ রয়েছে। সহিহ সনদে বর্ণিত সকল দরুদই আপনি পাঠ করতে পারেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর উদ্দেশ্যে।
Add comment